Tuesday, January 26, 2016

অনলাইন কোর্স করে ফ্রিল্যান্সার হওয়ার সুযোগ

দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরিতে গতানুগতিক ক্লাসরুমের বাইরে শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সম্প্রতি অনলাইনে ক্লাস ও ভিডিও কোর্স চালু করেছে তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণদাতা প্রতিষ্ঠান কোডারসট্রাস্ট। প্রতিষ্ঠানটির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরিতে প্রায় দুই বছর ধরে কাজ করছে কোডারসট্রাস্ট। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৫০০ ফ্রিল্যান্সার তৈরি করেছে।

কোডারসট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চাইলেই এখন যে কেউ বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোডারসট্রাস্টের অনলাইন কোর্সগুলো করে নিতে পারেন। প্রতিষ্ঠানটির ভারচুয়াল ক্লাসগুলো এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে অনলাইনে ক্লাস করলেও শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমের মতোই মজাই পাবেন এখানে। অনলাইনে কোডারসট্রাস্টের যেকোনো প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা পরীক্ষামূলকভাবে বিনা মূল্যে নির্দিষ্ট সেই কোর্সটিও করে নিতে পারবেন।

কোডারসট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ফার্দিনান্দ বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের যেহেতু অনলাইনে কাজ করতে হয়। তাই তাঁরা যদি তাঁদের প্রশিক্ষণটাও অনলাইনে নিয়ে থাকেন, তবে সেটি হবে তাঁদের জন্য অনেক লাভজনক। অনলাইনে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময়েই তাঁরা তাঁদের কাজের ধরনটা বুঝতে পারবেন এবং এটি তাঁদের দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হতে সাহায্য করবে।

কোডারসট্রাস্টের হেড অব অপারেশন শাকিল মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য, যাঁরা আর্থিকভাবে অসচ্ছল, তাঁদের বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তৈরি করা। বর্তমানে আমরা কড়াইল বস্তিতে বিনা
মূল্যে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। ভবিষ্যতে আমাদের এ বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির পরিধি আরও বাড়বে।’

উল্লেখ্য, কোডারসট্রাস্টের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা তাঁদের অনলাইন কাজ বিক্রি করতে পারেন এবং এখান থেকে শিখতেও পারবেন। এ জন্য খরচ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। পরে কাজের সুযোগও তৈরি করে দেয়। যখন কোডারসট্রাস্ট ব্যবহারকারী আয় করবেন, তখন ওই ঋণ শোধ করতে পারবেন। কোডারট্রাস্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানার লিংক (www.coderstrust.com)

পৃথিবীকে বাঁচানোর মহাপ্রকল্প

মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে কোনো গ্রহাণু আঘাত হানলে মুছে যাবে মানব সভ্যতার অস্তিত্ব। এই মহাপ্রলয় ঠেকানোর পরিকল্পনা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান নাসার গবেষকেরা। গবেষকেরা প্ল্যানেটারি ডিফেন্স কো-অর্ডিনেশন অফিস (পিডিসিও) নামের একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন, যাঁর মাধ্যমে মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলো পৃথিবীর আশপাশে থাকা নিয়ার আর্থ অবজেক্টসের (এনইওস) ওপর নজরদারি করবে।
আমাদের সৌরজগতের অধিকাংশ গ্রহাণু ও ধূমকেতু আকারে অনেক ছোট। মঙ্গল ও বৃহস্পতির কক্ষপথ এলাকায় অ্যাস্টরয়েড বেল্ট এলাকার মধ্যে নির্দিষ্ট কক্ষপথে সেগুলো পৃথিবী থেকে নিরাপদ দূরত্বেই থাকে। প্রযুক্তি-বিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চ জানিয়েছে, বড় কিছু গ্রহাণু আছে, যেগুলো পৃথিবীর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে এবং পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসতে পারে।
পৃথিবীকে এ ধরনের মহাবিপর্যয় থেকে রক্ষায় পিডিসিও দুটি দায়িত্ব পালন করবে। এর একটি হচ্ছে পৃথিবীর হুমকি হিসেবে দাঁড়ানো গ্রহাণুগুলোকে খুঁজে বের করে তার বৈশিষ্ট্য নির্ণয় করবে। দ্বিতীয় দায়িত্ব হবে বিভিন্ন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ও সরকারকে নিয়ে জরুরি মুহূর্তে বিশেষ ব্যবস্থা নেবে এবং পৃথিবীর ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে জানাবে।
গ্রহাণুর আকার ও পৃথিবীতে এর প্রভাব বিবেচনা করে এই গ্রহকে সুরক্ষিত করার দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে নাসা। এর মধ্যে রয়েছে গ্রহাণুর গতিপথ ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মতো প্রকল্প। নাসার গবেষকেরা জানিয়েছেন, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির সঙ্গে মিলে তাঁরা গ্রহাণুর গতিপথ ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রযুক্তির ধারণা নিয়ে কাজ করছেন। এই মিশন পরিচালনার জন্য অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার চেষ্টা করছে নাসা।
নাসার গবেষকেরা জানান, পৃথিবীতে যদি কোনো গ্রহাণুর আঘাত হানার মতো জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হয়, তবে ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (ফেমা), মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাকে নিয়ে কাজ করবে পিডিসিও।
নাসার গবেষকেরা বলেন, নিয়ার আর্থ অবজেক্টগুলো সাধারণত পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যায়। ১৯৯৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৫৫৬টি ঘটনা নাসা পর্যবেক্ষণ করেছে। তবে ২০১৩ সালে রাশিয়ায় চেলিয়াবিন্সকে আঘাত হানে ১৯ মিটার প্রস্থের এক গ্রহাণু। এটি খুব ছোট ও সূর্যের খুব কাছাকাছি থাকায় শনাক্ত করতে পারেননি গবেষকেরা।

Monday, January 25, 2016

একটা আলু বিক্রি হল ৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকায়!

একটা আলুর দাম শুনলে চোখ ছানা বড়া নয়, একেবারে আলু হয়ে যাবে! হ্যাঁ, ঠিক তাই। কারণ, একটা আলুর দাম ৭৫৭ হাজার পাউন্ড। মানে ভারতীয় মুদ্রায় দাঁড়াচ্ছে গিয়ে প্রায় ৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা!
তাও এ আলু গোটা বটে। কিন্তু আসল নয়। আলুর একটা ছবি। আর এই আলুর ছবিটি তুলেছেন ফোটোগ্রাফার কেভিন অ্যাবোস। ৪৭ বছরের ভদ্রলোক এর আগে হলিউড স্টারদের ছবি তুলতেন মূলত। জনি ডিপ, স্টিভেন স্পিলবার্গদের ছবি তোলাটাই ছিল তাঁর কাজ। এরই মাঝে কিছু নিজের শখের ছবি তোলাও তো থাকে। সেরকমভাবেই একটি আলুর ছবি তুলেছিলেন। ব্ল্যাক ব্যাকগ্রাউন্ডের ওই আলুচ ছবিটি টানানো ছিল তাঁর প্যারিসের স্টুডিওর দেওয়ালে। সেটা দেখা মাত্রই পছন্দ হয়ে যায় এক দুবাইয়ের ব্যবসায়ীর। তিন-চার পাত্র মদিরার নেশায় সেই ব্যবসায়ী আলুর ছবিটি কিনে নেন ৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকায়!