Tuesday, December 16, 2014

জেনে নিন, ডিমের ৭টি বিস্ময়কর উপকারিতা


 
সবারই পছন্দের খাবার হল ডিম। সকালের নাস্তায় ডিম ছাড়া যেন নাস্তাই করা হয় না। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ডিম খেতে ভালবাসেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে। ডিম সেদ্ধ, ডিম পোঁচ, অথবা ডিম দিয়ে যে কোন রান্না খুবই জনপ্রিয় বিশ্বজুড়ে। আপনি হয়তো জানেন যে ডিম আমাদের দেহের জন্য অনেক বেশি উপকারী, কিন্তু কীভাবে আপনার উপকার করে এই ডিম? জেনে নিই উপকারিতা গুলো সম্পর্কে
মস্তিষ্কের জন্য উপকারি
ডিমে আছে প্রচুর পরিমানে কলিন যা নিউরোট্র্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করে আমাদের দেহকে সুস্থ রাখে। ডিম আমাদের মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া ডিমের কুসুমে আছে ফলেট উপাদান যা আমাদের মস্তিষ্কের ভিতরে স্নায়ু কোষের রক্ষণাবেক্ষণ করে
দেহের হাড় মজবুত করে
ডিমে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ডি যা আমাদের দেহের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে থাকে এবং ডিমে ক্যালসিয়াম ফসফরাসের উপস্থিতি অস্টিওপরোসিস বন্ধ রাখে এবং দেহের হাড় মজবুত হতে সাহায্য করে
দেহের ওজন নিয়ন্ত্রন করে
আমাদের দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে ডিমের উপকারিতা অনেক। যারা পেশির ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাদের জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিম উপযুক্ত। গবেষণায় দেখা গেছে যে ডিম আমাদের দেহে ঘন ঘন ক্ষুধা লাগাকে কমিয়ে দিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
নখ চুলের স্বাস্থ্য উন্নত কর
ডিমে আছে সালফার সমৃদ্ধ অ্যামিনো অ্যাসিড যা আমাদের হাতের নখের স্বাস্থ্যই শুধু উন্নত করেনা আমাদের চুলের স্বাস্থ্য মজবুত করে আকর্ষণীয় করে তুলে। ডিমের অন্যান্য খনিজ পদার্থ সেলেনিয়াম, আয়রন জিঙ্ক দেহের নখ চুলের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে সহযোগীতা করে
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে
ডিমের অবস্থিত লুটিন যেক্সানথিন এই দুটি ক্যারটিনয়েড আমাদের চোখের সুস্থ দৃষ্টি নির্ধারণে সাহায্য করে। ডিমের এই উপাদান গুলো আমাদের চোখের ছানি, মেকুলার পতন সূর্যের বেগুনী রশ্মি থেকে আমাদের চোখকে রক্ষা করে
স্তনের ক্যানসার রোধ করে
গবেষণার পরামর্শ অনুযায়ী বলা হয়েছে যে প্রতি সপ্তাহে টি করে ডিম খেলে স্তনে ক্যানসার হওয়ার সম্ভবনা ৪০% কমে যায়।
ডিম সহজেই হজম হয়
ডিম খুব দ্রুত হজম হয়ে যায় আমাদের দেহে। ডিম আপনি যেভাবেই খান না কেন এটি আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

Monday, December 15, 2014

১০ মিনিটে সাড়ে ৯ পাউন্ড মাংস খেয়ে রেকর্ড !

যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটে খাবার প্রতিযোগিতায় জোয়ি চেস্টনাট নামের এক ব্যক্তি দশ মিনিটে প্রায় ৪ দশমিক ২৪ কেজি টার্কির মাংস খেয়ে রেকর্ড গড়েছেন। এর আগের রেকর্ডটি ছিল সোন্যা টমাসের দখলে যিনি ২০১১ সালের নভেম্বরে প্রায় সাড়ে পাঁচ পাউন্ড মাংস খেয়েছিলেন।

জোয়ির বয়স ৩১ বছর। তিনি এ প্রতিযোগিতায় একটি টার্কির সবটুকু খেয়েছেন। দশ জন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে তিনি জিতেছেন ৫০০০ মার্কিন ডলারের একটি চেক ।

আইনস্টাইন ভক্তদের জন্য কিছু মজার অজানা তথ্য!

অনেক বার আইনস্টাইন সম্পর্কে অনেক কিছু শুনেছেন, আজ আরও কিছু তথ্য নিয়ে আপনাদের কাছে এসেছে সময়ের কণ্ঠস্বর

  •  ১৮৭৯ সালে ১৪ই মার্চ জার্মানির একটি ছোট শহর উলমে আইনস্টাইনের জন্ম।
  •  আইনস্টাইন যখন তার আপেক্ষিক তত্ত্ব আবিষ্কার করেন তখন পর্যন্ত গবেষণার জন্য তার ছিলনা কোন ল্যাবরেটরি বা কোন যন্ত্রপাতি, তার একমাত্র অবলম্বন ছিল খাতা-কলম।
  •  আইনস্টাইন যখন তার আপেক্ষিক তত্ত্ব প্রকাশ করেন তখন তার বয়স ছিল মাত্র ২৬ বছর।
  •  সূর্যগ্রহেনর একাধিক ছবি দেখে বিজ্ঞানীরা ধারণা করলেন আলোক রশ্মি বাকে।
  •  ১৯১৪ সালের ৬ই নভেম্বর ইংল্যান্ড এর রয়াল সোসাইটিতে ঘোষনা করা হল সেই যুগান্তকারী আবিষ্কার! আলো বেকে যায়! এই বাকের নিয়ম নিউটনের তত্ত্বে নেই, আলোর বাকের এই মাপ আছে আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বে।
  •  একদিন এক তরুণ সাংবাদিক, বিজ্ঞানী আইনস্টাইনকে তার আপেক্ষিক তত্ত্ব সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে বললে, আইনস্টাইন কৌতুক করে বললেন- যখন একজন লোক কোন সুন্দরীর সাথে ১ ঘন্টা গল্প করে, তখন তার কাছে মনে হয় যেন এক মিনিট বসে আছে। কিন্তু যখন তাকে কোন গরম উননের পাশে এক মিনিট দাড় করিয়ে দেওয়া হয় তবে তার মনে হবে সে একঘন্টা দাড়িয়ে আছে। এটাই আপেক্ষিক তত্ত…
  •  মজার ব্যাপার হল আইনস্টাইনের সবেচেয়ে আলোচিত ও সবচেয়ে মহৎ আবিষ্কার আপেক্ষিক তত্ত্ব হলেও নোবেল কমিটি তাকে এই তত্ত্বের জন্য নোবেল পুরষ্কার দিতে পারেনি, কারণ নোবেল পুরস্কারের শর্ত ছিল পদার্থিবদ্যায় নোবেল পুরষ্কার পাবে এমন আবিষ্কারক যার আবিষ্কার মানুষের কাজে লাগে। কিন্তু যখন তিনি নোবেল পুরষ্কারে ভুষিত হন তখন পর্যন্ত এটা প্রমাণিত হয়নি যে আপেক্ষিক তত্ত্ব আদেও মানুষের কোন কাজে লাগে…! তিনি নোবেল পুরুষ্কার পান তার ফটো ইলেকিট্রক ইফেক্ট আবিষ্কারের কারনে…নোবেল সনদে তা উল্লেখ আছে এভাবে…
  •  আইনস্টাইন বিশ্বাস করতেন ধর্ম মানবতারই এক মূর্ত প্রকাশ। বিজ্ঞান আর ধর্মে প্রেভদ নেই। প্রভেদ শুধু দৃষ্টি ভঙ্গিতে। বিজ্ঞান শুধু ‘কি’ তার উত্তর দিতে পারে, ‘কেন’ বা ‘কি হওয়া উচিৎ’ সে উত্তর দেবার ক্ষমতা নেই। অপর দিকে ধর্ম শুধু মানুষের কাজ আর চিন্তার মূল্যায়ন করতে পারে মাত্র।
  •  মূলত পারমানবিক শক্তির সম্ভবনা সৃষ্টির মাধ্যমে আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব প্রমানিত হয়। সামান্য ভরের রুপান্তরের জন্য পাওয়া যাচ্ছে অপরিমেয় শক্তি। আইনস্টাইন লিখেছেন-“ আমার জীবনকালে এই শক্তি পাওয়া যাবে ভাবেত পারিনি”।
  •  ১৯৫০ সালে আইনস্টাইন প্রকাশ করেন তার মহাকর্ষের সার্বজনীন তত্ত্ব।
  •  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গড়ে ওঠা নতুন ইহুদী রাষ্ট্র ইসরায়েলের রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য আইনস্টাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হলে তিনি তা প্রত্যাখান করেন।
  •  ১৯৫৫ সালে ১৮ই এপ্রিল আইনস্টাইন মারা যান। তার দেহ পুড়িয়ে ফেলা হলেও তার ব্রেন গেবষণার জন্য এখনও সংরক্ষিত আছে। তবে তা কোথায় সেটা অনেকেরই অজানা…