কষ্ট পেলে
কান্নাকাটি করাটাকে আমরা
স্বাভাবিক বলেই
ধরে
নেই।
অনেকে
খুব
বেশি
খুশির
মুহূর্তেও ঝরঝর
করে
কেঁদে
ফেলেন।
কিন্তু
এর
পেছনে
কারণটা
কি?
কেন
আনন্দের মুহূর্তে আমরা
কাঁদি?
নতুন এক
গবেষণা
অনুযায়ী, আনন্দের মুহূর্তে এরকম
নেতিবাচক বহিঃপ্রকাশ দেখানোর কারণ
একটাই।
আমরা
যেন
বেশি
খুশিতে
আত্মহারা হয়ে
না
যাই,
এ
কারণেই
কেঁদে
ফেলি
আমরা।
Psychological Science জার্নালে প্রকাশিত ইয়েল
ইউনিভার্সিটির এই
গবেষণায় “ডাইমর্ফাস এক্সপ্রেশন” এর
ওপর
পরীক্ষা নিরীক্ষা করা
হয়।
“ডাইমর্ফাস এক্সপ্রেশন” এর
অর্থ
হলো
যেসব
অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ দুইভাবে হয়।
যেমন
আনন্দের কোনো
সিনেমা
দেখতে
গেলে
খুশিতে
একদিকে
চোখে
পানি
চলে
আসে
আবার
ঠোঁটে
ফুটে
ওঠে
হাসি।
এই
গবেষণায় দেখা
যায়,
একটি
অনুভবের সাথে
দুই
ধরণের
বহিঃপ্রকাশ দিচ্ছেন মানুষেরা।
ভালো অনুভূতি তৈরির
জন্য
ছোট
বাচ্চাদের মিষ্টি
ছবি
দেখানো
হয়
অংশগ্রহণকারীদের এবং
তাদের
অনুভূতির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা
হয়।
দেখা
যায়,
যারা
এই
ইতিবাচক অনুভূতির প্রেক্ষিতে ইতিবাচক এবং
নেতিবাচক দুই
ধরণেরই
বহিঃপ্রকাশ দেন,
তারা
নিজেদের অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করতে
বেশি
সক্ষম।
এতে
ধারণা
করা
হচ্ছে,
একই
অনুভূতির বিপরীত
দুই
ধরণের
বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে
আমাদের
মানসিকতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে
সাহায্য করে
আমাদের
মস্তিষ্ক।
শুধু ইতিবাচক অনুভূতির ক্ষেত্রেই নয়,
একই
ঘটনা
দেখা
যায়
নেতিবাচক অনুভূতির ক্ষেত্রেও। অনেক
সময়ে
দেখা
যায়,
খুব
বেশি
কষ্ট
পেলে
মানুষ
কান্নার পাশাপাশি হেসে
ফেলে।
তবে
সবার
মাঝে
এই
“ডাইমর্ফাস এক্সপ্রেশন” দেখা
যায়
না।
কেন
যায়
না
তার
ব্যাপারে নিশ্চিত নন
গবেষকেরা। তবে
ধারণা
করা
হচ্ছে
যাদের
মাঝে
এই
বিশেষত্ব আছে
তারা
নিজেদের অনুভূতি প্রকাশের বেশি
সক্ষম
এবং
খুব
সহজেই
তারা
আবেগপ্রবণ হয়ে
ওঠেন।