Tuesday, December 16, 2014

ফেসবুকে যেসব লিঙ্কে কখনই ক্লিক করবেন না!

ফেসবুক প্রোফাইলের থিম পাল্টানোর রিকোয়েস্ট এসেছে আপনার কাছে? তাহলে সাধু সাবধান। ফেসবুকে ‘কালার বা থিম চেঞ্জ’ বা রং পরিবর্তনের একটি ম্যালওয়্যার নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে ১০ হাজারের বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারীকে বোকা বানিয়ে এই ভাইরাসটি আক্রমণ করেছে টাইমলাইনে।
সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, ফেসবুকে প্রোফাইলের রং পরিবর্তনের এই ম্যালওয়্যারটি আগেও ছিল। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এই ম্যালওয়্যারটি সরিয়ে ফেললেও আবারও তা ফিরে এসেছে। এই ম্যালওয়্যারটি একটি বিজ্ঞাপনের আকারে ফেসবুক ব্যবহারকারীকে তাতে ক্লিক করতে প্রলুব্ধ করে। এতে বলা হয়, এখন থেকে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা তাদের প্রোফাইলের রং পরিবর্তনের সুযোগ পাবেন। এই অ্যাপটি ডাউনলোড করতেও বলা হয়। এই অ্যাপটি ডাউনলোড করতে গেলেই ভাইরাসপূর্ণ একটি সাইটে চলে যাবেন ব্যবহারকারী। এরপর থেকেই শুরু হবে বিপদ।
রং পরিবর্তনের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করা হলে ফেসবুকে লগ ইন তথ্য চুরি করে নেয় এই ম্যালওয়্যারটি। এ ছাড়াও ব্যবহারকারীদের রং পরিবর্তন করার জন্য একটি টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখতে বলে। এ ছাড়াও ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বন্ধুদের কাছেও এই ম্যালওয়্যারটি ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার পর যদি ব্যবহারকারী ভিডিও না দেখেন, তখন ওই ম্যালওয়্যারপূর্ণ সাইটটি জোর করে একটি অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করতে বাধ্য করে। এ ছাড়াও কম্পিউটারে একটি পর্নোগ্রাফিক ভিডিও প্লেয়ার ডাউনলোড করানোর চেষ্টা করে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এ ধরনের স্প্যামে ক্লিক করবেন না। যদি এ ধরনের কোনো অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা দেখেন তবে তা দ্রুত আন-ইনস্টল করে দিন এবং দ্রুত ফেসবুকের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে ফেলুন।
নতুন এই ভাইরাসটি ছাড়াও ফেসবুকে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় স্ক্যাম সম্পর্কে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান বিটডিফেন্ডারের বিশেষজ্ঞরা। তাদের মধ্যে আর একটি হলো, প্রোফাইল দেখার পরিসংখ্যান। আপনার ফেসবুক প্রোফাইল কে কতবার দেখছেন, তা জানানোর জন্য একটি লিঙ্ক হয়তো আপনার নিউজ ফিডে দেখতে পারেন। কারা কতবার আপনার প্রোফাইল দেখছেন, সে তথ্য জানানোর জন্য বিজ্ঞাপন আকারে যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়, তা সম্পূর্ণ ভুয়া। ফেসবুক এ ধরনের কোনো জিনিস অনুমোদন করে না। এ ধরনের কোনো লিঙ্ক দেখলে ক্লিক করবেন না।
এরকমই আর একটি হলো স্প্যাম হল কোনও বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের নামে সেক্স টেপ। ‘লিকড সেক্স টেপ’ নামে ফেসবুকে অসংখ্য স্প্যাম রয়েছে।
বিনা মূল্যে ফেসবুকের টি-শার্ট বা অন্য কোনো উপহার সামগ্রী দেয়ার লোভ দেখিয়ে আপনাকে কোনো লিঙ্ক ক্লিক করতে বলা হলে তাতে ভুলেও ক্লিক করবেন না।

ফেসবুকে নতুন ভাইরাস!

ফেসবুকে নতুন একটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের কাছ থেকে আসা ভিডিও লিংকের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে ‘হেই নাউ আই ওয়াচ ইয়োর ভিডিও ফান-মেটিনটু ডটকম’ বার্তাযুক্ত ভাইরাসটি। এই ভাইরাসটিকে বলা হচ্ছে ‘প্লেগ’ যা ফেসবুক বন্ধুদের বার্তার মাধ্যমে একজন থেকে আরেকজনের কাছে ছড়াচ্ছে। এই ভাইরাসে ইংরেজিতে একটি বার্তা লেখা থাকে এবং ভিডিও দেখার জন্য বলা হয়। এতে যাঁকে ভিডিও দেখতে বলা হয় সেই ব্যবহারকারীর প্রোফাইল ছবি, নাম প্রভৃতিও যুক্ত থাকে। এই বিষয়টি ব্যবহারকারীকে বিভ্রান্ত করে ভিডিও লিংকটিতে ক্লিক করার জন্য প্রলুব্ধ করে। ভিডিও লিংকটিতে লেখা থাকে ‘ক্লিক ফর ওয়াচ ভিডিও ফান-মেটিনটু ডটকম’।
এই ভিডিও লিংকটি ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের কাছ থেকে বার্তা হিসেবে আসে বলে অনেকেই ভুল করে ক্লিক করে বসেন। যাতে ভাইরাসটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধু তালিকায় থাকা সব বন্ধুদের কাছে ছড়িয়ে পড়ে। এই লিংকটিতে ক্লিক না করার পরামর্শ দিচ্ছেন কম্পিউটার নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা।

ভাইরাসটি যেভাবে দূর করবেন
এই ভাইরাসটি কোনো সফটওয়্যার প্রোগ্রাম নয়। এটি শুধু মাত্র একটি স্ক্রিপ্ট। অনেকেই এই ভাইরাস দূর করতে পুরো ব্রাউজার ডিলিট করে দেন। এই ভাইরাসটি দূর করতে শুধু এক্সটেনশন পরিস্কার করলেও চলবে। এ ছাড়াও ব্রাউজারে টেম্পরারি ফাইল, কুকিস মুছে দিলেও এই ভাইরাসটি দূর করা যাবে। যদি এক্সটেনশন মুছতে না পারেন তবে ব্রাউজার ডিলিট করে আবার রিইনস্টল করতে পারেন। এ ছাড়াও ট্রেন্ড মাইক্রো অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে কম্পিউটার স্ক্যান করেও এই ভাইরাস দূর করা যাবে।

আমরা কেন খুশিতে কাঁদি?






 কষ্ট পেলে কান্নাকাটি করাটাকে আমরা স্বাভাবিক বলেই ধরে নেই। অনেকে খুব বেশি খুশির মুহূর্তেও ঝরঝর করে কেঁদে ফেলেন। কিন্তু এর পেছনে কারণটা কি? কেন আনন্দের মুহূর্তে আমরা কাঁদি?
নতুন এক গবেষণা অনুযায়ী, আনন্দের মুহূর্তে এরকম নেতিবাচক বহিঃপ্রকাশ দেখানোর কারণ একটাই। আমরা যেন বেশি খুশিতে আত্মহারা হয়ে না যাই, কারণেই কেঁদে ফেলি আমরা। Psychological Science জার্নালে প্রকাশিত ইয়েল ইউনিভার্সিটির এই গবেষণায়ডাইমর্ফাস এক্সপ্রেশনএর ওপর পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়।ডাইমর্ফাস এক্সপ্রেশনএর অর্থ হলো যেসব অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ দুইভাবে হয়। যেমন আনন্দের কোনো সিনেমা দেখতে গেলে খুশিতে একদিকে চোখে পানি চলে আসে আবার ঠোঁটে ফুটে ওঠে হাসি। এই গবেষণায় দেখা যায়, একটি অনুভবের সাথে দুই ধরণের বহিঃপ্রকাশ দিচ্ছেন মানুষেরা
ভালো অনুভূতি তৈরির জন্য ছোট বাচ্চাদের মিষ্টি ছবি দেখানো হয় অংশগ্রহণকারীদের এবং তাদের অনুভূতির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হয়। দেখা যায়, যারা এই ইতিবাচক অনুভূতির প্রেক্ষিতে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুই ধরণেরই বহিঃপ্রকাশ দেন, তারা নিজেদের অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করতে বেশি সক্ষম। এতে ধারণা করা হচ্ছে, একই অনুভূতির বিপরীত দুই ধরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে আমাদের মানসিকতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে আমাদের মস্তিষ্ক
শুধু ইতিবাচক অনুভূতির ক্ষেত্রেই নয়, একই ঘটনা দেখা যায় নেতিবাচক অনুভূতির ক্ষেত্রেও। অনেক সময়ে দেখা যায়, খুব বেশি কষ্ট পেলে মানুষ কান্নার পাশাপাশি হেসে ফেলে। তবে সবার মাঝে এইডাইমর্ফাস এক্সপ্রেশনদেখা যায় না। কেন যায় না তার ব্যাপারে নিশ্চিত নন গবেষকেরা। তবে ধারণা করা হচ্ছে যাদের মাঝে এই বিশেষত্ব আছে তারা নিজেদের অনুভূতি প্রকাশের বেশি সক্ষম এবং খুব সহজেই তারা আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন