Wednesday, July 1, 2015

সঠিক এবং কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণে যা করণীয়

সিদ্ধান্ত নিতে আমরা অনেকেই ঝামেলায় পড়ি। এ লেখায় থাকছে ঝামেলা এড়িয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কয়েকটি টিপস। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. বেস্ট অপশন অনুসন্ধান
দোকানো কোনো জিনিস কিনতে গিয়ে ‘বেস্ট অপশন’ অনুসন্ধান করা বাদ দিন। এটি মূলত বিক্রেতারা বেশি অর্থের জন্যই তৈরি করে। এক্ষেত্রে নিজের পছন্দনীয় বিষয়টিকেই আগে গুরুত্ব দিন।
২. অন্যদের কম গুরুত্ব দিন
আপনার কোনো একটি বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে নিজের মতামতই সবার আগে রাখুন। এক্ষেত্রে অন্য কারো সিদ্ধান্ত কিংবা বিবেচনা পরে চিন্তা করুন।
৩. ভালো ঘুমের গুরুত্ব
ভালোভাবে ঘুম সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালোভাবে ঘুমিয়ে নিন।
৪. নিজের যা প্রয়োজন তাই দেখুন
ধরুন আপনার পছন্দনীয় কোনো একটি জিনিস কিনতে দোকানে গিয়েছেন। এক্ষেত্রে বিক্রেতা আপনাকে অন্য যে জিনিসই দেখাক না কেন, আপনি লক্ষ্যচুত হবেন না। এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয়তা সবার আগে।
৫. অন্যদের তুলনায় নিজের গুরুত্ব আগে
সিদ্ধান্ত যেহেতু আপনি নিচ্ছেন তাই অন্যদের তুলনায় নিজের মনোভাবই সবার আগে বিবেচনা করুন।
৬. অতিরিক্ত তথ্য নয়
অতিরিক্ত তথ্য অনেক সময় কোনো একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়াকে অথর্ব করে দিতে পারে। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী তথ্য নিন এবং বাড়তি তথ্য বাদ দিন।
৭. নিজেকে প্রণোদনা দিন
কোনো একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হলে নিজের সুবিধার কথাও খেয়াল রাখুন। ভালো একটি খাবার কিংবা অনুরূপ বিষয় নিজের মস্তিষ্ককে উদ্দীপ্ত করতে ব্যবহার করুন।
৮. ভিন্ন ফলাফল বিবেচনা করুন
কোনো একটি কাজের ফলে আপনার কাঙ্ক্ষিত যে ফলাফল তা নাও আসতে পারে। এক্ষেত্রে ভিন্ন কোনো ফলাফল হতে পারে, তাও বিবেচনা করুন।
৯. নাস্তা খান
ক্ষুধার্ত অবস্থায় মানুষের চিন্তাশক্তি সীমিত হয়ে পড়ে। তাই বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একটু নাস্তা খেয়ে নিন।
১০. ভয়কে জয় করুন
ভয় অনেক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে বিচক্ষণতার সঙ্গে নির্ভুল সিদ্ধান্ত নিতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
১১. সঠিক মূল্য দিন
কোনো বিষয়ের মূল্যকে বেশি বা কম করে বিবেচনা করবেন না। এক্ষেত্রে সঠিক মূল্য বিবেচনা করুন।
১২. মেডিটেশন
মেডিটেশনের সহায়তায় সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়। এজন্য অনুশীলন করতে হবে।
১৩. পূর্বধারণা বাদ দিন
কোনো একটি বিষয় সম্পর্কে আগে থেকে ধারণা করে রাখা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে পূর্বধারণা ভুল সিদ্ধান্ত তৈরি করতে পারে। তাই সঠিক পূর্বধারণা মেনে চলুন।
১৪. সর্বশেষ তথ্য মানে সর্বশ্রেষ্ঠ নয়
কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সর্বশেষ তথ্য মানে সর্বশ্রেষ্ঠ নয়। আগের তথ্যও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
১৫. ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করুন
শুধু আপনার নিজের মতামতই নয়, অন্যদের মতামতও বিবেচনা করুন।
১৬. চোখ বন্ধ করুন
কঠিন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করুন। এরপর বিষয়টি ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করে নিন।
১৭. বিদেশি ভাষায় বিবেচনা করুন
আপনার সিদ্ধান্তের কয়েকটি অপশন বিদেশি কোনো ভাষায় বিবেচনা করুন। এতে নতুন কোনো দিগন্তের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।
১৮. বর্তমান অনুভূতি চিরস্থায়ী নয়
আপনার বর্তমানে যে অনুভূতি রয়েছে তা সব সময়েই থাকবে এমন কোনো কথা নেই। এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ভবিষ্যতের কথাও চিন্তা করতে হবে।
১৯. শরীরের ভাষা শুনুন
শরীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাই আপনার শরীর কি বলে, সে বিষয়টিও লক্ষ্য রাখুন।
২০. অন্ধভাবে অন্যকে বিশ্বাস নয়
অন্যরা আপনাকে যে তথ্যই দিক না কেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তার কোনোটিই অন্ধভাবে বিশ্বাস করা যাবে না। এক্ষেত্রে নিজের বিবেচনাকেও গুরুত্ব দিতে হবে।
২১. বেস্ট চয়েস সবসময় ভালো নাও হতে পারে
অনেকেই বেস্ট চয়েস হিসেবে আপনার সামনে উপস্থাপন করতে পারে এমন কোনো বিষয় যা আদতে ভালো সিদ্ধান্ত নয়।
২২. গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আগে রাখুন
আপনার সামনে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ রয়েছে তার একটি তালিকা করুন। এরপর যে সিদ্ধান্তটি সবচেয়ে ভালো বলে মনে হয়, তাকে তালিকার ওপরের দিকে রাখুন।
২৩. এক বছর পরের পরিস্থিতি
ব্যবসা ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি পদ্ধতি হলো ‘প্রিমর্টাম’। এক বছর পরে পরিস্থিতি কি দাঁড়াবে সে সম্পর্কে কল্পনা করে এ সিদ্ধান্তটি নেওয়ার বিষয় বিবেচনা করতে হয়। এক্ষেত্রে এক বছর পর থেকে পেছনের দিকে তাকাতে হয়।
২৪. নমনীয়তা
কোনো একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনি যদি আগে থেকেই একটি নির্দিষ্ট বিষয় ধরে রাখেন তাহলে তা সিদ্ধান্ত গ্রহণে ঝামেলা তৈরি করে। এক্ষেত্রে তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনেকগুলো বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে এবং যে সিদ্ধান্তই হোক না কেন, তা মেনে নিতে হবে।

বিস্ময়কর ৬ টি ব্যবহার যা আপনার এখনও অজানা ফেলনা কলার খোসায়

কলা খাওয়ার পর কলার খোসা কি করেন? নিশ্চয়ই ময়লার ঝুড়িতে যায়? এছাড়াও অনেকে পথে ঘাটে কলার খোসা ছড়িয়ে বিপত্তির সৃষ্টি করে থাকেন। তাই এই ফেলনা কলার খোসা অনেকের কাছেই কোনো কাজের নয়। কিন্তু এই ফেলনা কলার খোসার এমন কিছু বিস্ময়কর ব্যবহার রয়েছে যা চমকে দিতে পারে আপনাকে। চলুন তাহলে আজ জেনে নেয়া যাক ফেলনা কলার খোসার এমনই সব ব্যবহার।
১) ফোসকা পড়া দ্রুত নিরাময় করে অনেকেই কলার খোসার এই ব্যবহার সম্পর্কে একেবারেই জানেন না। কলার খোসা ফোসকা পড়া দ্রুত নিরাময়ে সহায়তা করে। এক খণ্ড কলার খোসার ভেতরের অংশ দিয়ে আলতো ঘষে নিন এবং পুরো রাত অ্যাডহেসিভ টেপ দিয়ে লাগিয়ে রাখুন। ভালো ফলাফল পাবেন।
২) রূপার চকচকে ভাব পুনরায় ফিরিয়ে আনে রূপার জিনিসপত্র অনেকদিন রেখে দিলে কালচে ভাব চলে আসে। এই সমস্যা এক নিমেষে দূর করতে পারে কলার খোসা। কলার খোসার ভেতরের অংশ দিয়ে ঘষে নিন রূপার তৈরি জিনিসটি। এরপর ধুয়ে মুছে নিন ভালো করে। ব্যস, নতুনের মতো চকচকে রূপার জিনিস পেয়ে যাবেন।
৩) গাছের খাবার শখের বাগানের গাছের জন্য মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করতে চান? তাহলে কলার খোসা পুতে রাখুন। কলার খোসা খুব ভালো সার হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও কলার খোসা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি প্রতিদিন গাছে দিলে দ্রুত ও সঠিকভাবে গাছ বেড়ে উঠতে খুব ভালো কাজ করে।
৪) চামড়ার তৈরি জিনিস পরিষ্কার করতে অনেকের ঘরেই চামড়ার তৈরি নানা জিনিস রয়েছে যা অল্পতেই নোংরা হয়ে যায়। বিশেষ করে বর্ষার সময়ে ছিতি পড়ার সমস্যাও দেখা দেয়। এই সমস্যার সমাধান করবে ফেলনা কলার খোসা। কলার খোসার ভেতরের অংশ ঘষে নিন জিনিসের উপরে, এরপর ভালো করে একটি ভেজা কারণ দিয়ে মুছে নিন এবং একটি শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিলেই ভালো ফলাফল পাবেন।

৫) পোকামাকড়ের কামড়ের জ্বলুনি দূর করতে পোকামাকড় কামড়ালে অনেকেরই অ্যালার্জির কারণে অনেক ফুলে যায় এবং জ্বলুনি তো থাকেই। এক কাজ করুন, কলার খোসার ভেতরের অংশ দিয়ে ঘষে নিন আক্রান্ত স্থান। দেখবেন ফুলে উঠা অনেক কমে গিয়েছে, আর জ্বলুনিও থাকবে না একেবারেই।
৬) ত্বকের সুরক্ষ ফেলনা কলার খোসা দূর করতে পারে ত্বকের ব্রণ সমস্যা, ত্বকের বয়সের ছাপ জনিত সমস্যা, এমনকি ত্বকের রুক্ষতার সমস্যাও। শুধুমাত্র কলার খোসার ভেতরের অংশ আলতো করে পুরো মুখে ঘষে নিন। পুরো রাত এভাবেই রাখুন। সকালে ভালো করে মুখ ধুয়ে মুছে নিন, বেশ ভালো ফলাফল পাবেন।

Tuesday, June 9, 2015

আসছে ছাদহীন বিমান!

উন্মুক্ত আর বিস্তীর্ণ আকাশ ছোঁয়ার ইচ্ছে হয়নি এমন মানুষ বোধহয় খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। আকাশ ছোঁয়ার এ ইচ্ছে পূরণে অনেকেই হতে চান পাইলট। কেউবা আবার বিমানে চড়ে সে সাধ পূরণের চেষ্টা করেন। তবে বিস্তীর্ণ আকাশ ছোঁয়ার যে স্বপ্ন, তা পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বদ্ধ বিমান আর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তার খাতিরে বিমানে জানালা খোলার কোনো সুযোগ নেই। তবে এবার বিমানে চড়ে মানুষের উন্মুক্ত আকাশ অনুভব করার সুযোগ করে দিতে এক নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন করার দাবি করেছে ‘দ্য সেন্টার ফর প্রসেস ইনোভেশন’ নামে একটি ব্রিটিশ প্রযুক্তিবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
তবে তাদের এ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণই প্রযুক্তি নির্ভরশীল। যাত্রীদের খোলা আকাশের নিচেই আছেন এমন অনুভুতি দিতে তারা বিমান থেকে সব জানালা সরিয়ে সেখানে ওএলইডি স্ক্রিন বসানোর পরিকল্পনা করছে। বিমানের বাইরে রাখা ক্যামেরার দৃশ্যগুলোই দেখা যাবে এই স্ক্রিনে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির তরফে বলা হয়, বিমানে জানালা থাকলেও যাত্রীরা ঠিক আকাশে ওড়ার অনুভূতি পান না। তাই ওএলইডি স্ক্রিনগুলো এমনভাবে বসানো হবে যেন যাত্রীরা তাদের আকাশ ভ্রমণ ঠিকমতো উপভোগ করতে পারেন। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে শুধু জানালাতেই নয়, বিমানের আসনের পেছনে, ছাদজুড়েও লাগানো থাকবে ওএলইডি স্ক্রিন। সিটে বসার পর যেপাশেই তাকান না কেন দেখা যাবে ভাসমান মেঘ। পাওয়া যাবে পাখি হয়ে আকাশে ওড়ার অনুভূতি।
তবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এই ওএলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে আপনি শুধু দেখতেই পারবেন না, অন্যান্য বিনোদনের জন্যও ব্যবহার করতে পারবেন। এটি ‍মূলত একটি টাচ স্ক্রিন ডিভাইস। কফি থেকে শুরু করে অন্যান্য অর্ডারের জন্য ‍আপনাকে আর কেবিন ক্রু’র জন্য বসে থাকতে হবে না। চাইলে এই স্ক্রিনে চেপেই অর্ডার দিতে পারবেন পছন্দমত যেকোনো কিছু।

Monday, June 8, 2015

বিশ্বের দীর্ঘতম জাহাজ

Prelude পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জাহাজ এটি। অবশেষে পানিতে ভাসানো হয়েছে এই জাহাজটিকে। Prelude নামের এই জাহাজের উচ্চতা ১৬০১ ফুট এবং এর ওজন ৬ লক্ষ টন!
Empire State বিল্ডিং এর সাথে যদি আরও ১৫০ ফুট যুক্ত করা হয় তবে এটি Prelude এর সমান হতে পারবে। Prelude কে জাহাজ বললে অনেকটা ভুল হবে এটি একটি বিশাল আকারের ভাসমান গ্যাস রিফাইনিং (floating liquefied natural gas) ষ্টেশন!
এই বিশাল আকারের জাহাজ South Korea থেকে বিগত এক বছরের তৈরি প্রক্রিয়া শেষে অবশেষে জলে নেমেছে এবং পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে, এটি পশ্চিম অস্ট্রেলিয়াতে প্রায় ২৫ বছর অবস্থান করবে সেখানেই এটি গ্যাস রিফাইনিং এর কাজে ব্যবহার হবে।
সমুদ্র গর্ভ থেকে Prelude প্রতি বছর প্রায় ৩.৯ মিলিয়ন টন তরল প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন, প্রক্রিয়াজাত করণ, এবং মাঝারি মাপের জাহাজের মাধ্যমে বিভিন্ন গন্তব্যে সর্বরাহের কাজ করবে।
ইঞ্জিনিয়ারদের বর্ণনা মতে এই জাহাজ প্রতিবছর প্রায় ১৭৫ টি অলিম্পিক সুইমিং পুলের সমান মাপের তরল গ্যাস উৎপাদন করে যাবে, যা ভবিষ্যৎ জ্বালানি সংকট মোকাবেলার জন্য খুবি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই জাহাজে বিশাল আকারের টার্বাইন রয়েছে যা একে পানির স্রোতের বিপরীতে স্থির থাকতে সাহায্য করবে একই সাথে এখানে রয়েছে ৬,৭০০ হর্সপাওয়ারের বিশাল ৩ টি ইঞ্জিন যা একে ৫ মাত্রার হ্যারিকেনেও সমুদ্রে নিরাপদে স্থির থাকতে সাহায্য করবে।
Prelude ২০১৭ সাল নাগাদ পশ্চিম অস্ট্রেলিয়াতে দীর্ঘ ২৫ বছরের জন্য অবস্থান নিবে এবং সেখানে এটি floating liquefied natural gas ষ্টেশন হিসেবে বিশাল আকারের কর্মযজ্ঞ চালাবে।

পৃথিবী ধ্বংসের নতুন তথ্য!



[X]
গুজব না সত্যি? কন্সপিরাসি তাত্ত্বিকরা দাবি করছেন তিন মাসের মধ্যেই ধ্বংস হতে চলেছে মানব সভ্যতা। ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ হয়ত আমাদের শেষ দিন।
বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও ব্লগে প্রকাশিত হয়েছে পৃথিবী ধ্বংসের নতুন তথ্য। তাঁদের দাবি, এই বছর ২৪ সেপ্টেম্বর মহাকাশে পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা লাগতে পারে একটি বড় গ্রহাণুর। তার জেরে পৃথিবীর সাজানো বাগান ধ্বংস হয়ে যাবে। মানব সভ্যতা বিলুপ্ত হতে পারে। তাঁরা আরও দাবি করছেন, বিশ্বের ক্ষমতশালী দেশগুলির কাছে আসন্ন বিপর্যয়ের খবর রয়েছে। কিন্তু ‘অযথা আতঙ্কে’র ভয়ে তাঁরা প্রকাশ্যে নিয়ে আসছেন না। উল্টে সেই দেশের বেশকিছু ক্ষমতাবাণ ব্যক্তি ঘর গোছাছেন এই বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচার জন্য।
নাসা যদিও এই তথ্য উড়িয়ে দিয়েছেন। নাসা সাফ জানিয়েছে, “তাদের কাছে পৃথিবীর সঙ্গে কোনও গ্রহণু বা ধূমকেতুর সংঘর্ষ হওয়ার কোনও খবর নেই। এমনকী আগামী একশো বছরেও এইরকম কিছু ঘটবে না।”

Sunday, June 7, 2015

ওডেস্ক এখন আপওয়ার্ক

মুক্ত পেশাজীবীদের (ফ্রিল্যান্সার) জন্য ইন্টারনেটে কাজ দেওয়া-নেওয়ার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ওডেস্ক-ইল্যান্সের নাম বদলে গেছে। এখন এর নাম হয়েছে আপওয়ার্ক (www.upwork.com)।
শুধু নামই নয়, সম্পূর্ণ নতুন ধরন নিয়ে এসেছে আপওয়ার্ক। ব্যাপক পরিবর্তনও আনা হয়েছে নতুন এ নেটওয়ার্কে। গত মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে ইল্যান্স-ওডেস্ক কর্তৃপক্ষ। আপওয়ার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টেফান কারসিয়েল জানিয়েছেন, ফ্রিল্যান্সিং জগতে নতুন একটি অধ্যায় সূচনা করতেই নতুনভাবে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে আপওয়ার্ক। নতুন নানা ধরনের সুবিধা যুক্ত হয়েছে এতে, যাতে মেধাবী ও দক্ষ পেশাজীবীরা বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে আরও সহজে কাজ করতে পারবেন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোও দক্ষ কর্মী নিয়োগ দিতে পারবে।
ইতিমধ্যে ইল্যান্স-ওডেস্ক থেকে বছরে ১০০ কোটি ডলারের বেশি উপার্জন করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফ্রিল্যান্সাররা। আগামী ছয় বছরের মধ্যে আপওয়ার্কের মাধ্যমে এই আয় এক হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এক পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন দেশের কাজদাতারা ইতিমধ্যেই ইল্যান্স-ওডেস্ক ব্যবহার করে বছরে প্রায় ৩০ লাখের বেশি কাজের ফরমায়েশ দিয়েছেন। এ ছাড়া নির্দিষ্ট কাজের ক্ষেত্রে কর্মী নিয়োগের জন্য এই ওয়েবসাইটে কর্মী খুঁজেছেন ১০ কোটি বারেরও বেশি।
নতুন নামকরণকে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা বলে উল্লেখ করেছেন স্টেফান। তাঁর মতে, এখন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য নতুন কাজের সুযোগ বাড়বে। আপওয়ার্কের মাধ্যমে নতুন উদ্ভাবন ও নতুনত্ব আনার মাধ্যমে অনলাইনে কাজের বাজার আরও প্রসারিত করার ব্যাপারে কাজ করে যাবে আপওয়ার্ক।
আপওয়ার্কে কর্মী নিয়োগের পদ্ধতিটি সহজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি দ্রুত যোগাযোগ-সুবিধা ও আপওয়ার্কের নতুন ‘রিয়াল-টাইম কমিউনিকেশন’ বৈশিষ্ট্য নির্দিষ্ট কাজকে দ্রুত সম্পন্ন করার সুযোগও দিচ্ছে।
এ ছাড়া আপওয়ার্কের নতুন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সাইটের অনেক কাজ খুব সহজেই করে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করবে। থাকছে সরাসরি গ্রুপভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। আপওয়ার্ক ব্যবহারকারী না হলেও যোগাযোগের জন্য বিশেষ ‘চ্যাট টুলটি’ সবাই ব্যবহার করতে পারবেন।

মহাকাশ মহাকাশ থেকে সৌরশক্তি?

জাপানের একদল বিজ্ঞানী মহাশূন্য থেকে সৌরশক্তি সংগ্রহ করে পৃথিবীতে এনে ব্যবহার করতে চান। আর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তাঁরা নির্মাণ করছেন একটি বিশেষ ধরনের মহাকাশযান। এতে প্রতি পাশে অন্তত এক দশমিক দুই মাইল লম্বা বর্গাকার সৌর প্যানেল থাকবে, যা সূর্য থেকে শক্তি সংগ্রহ করে ক্ষুদ্র তরঙ্গের (মাইক্রোওয়েভ) মাধ্যমে পৃথিবীতে পাঠাবে।
জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির গবেষকেরা সৌরশক্তির মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানির একটি সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন। আর সেই সীমাবদ্ধতাটি হচ্ছে সৌরশক্তি রাতের বেলায় সক্রিয় থাকে না এবং খারাপ আবহাওয়ায় পর্যাপ্ত শক্তির জোগান দিতে পারে না। তবে গবেষকেরা মহাকাশে স্থাপন ও ব্যবহারের উপযোগী যে সৌরশক্তি ব্যবস্থা (এসএসপিএস) তৈরি করছেন, সেটি আবহাওয়ার প্রভাবমুক্ত থাকবে এবং সব সময় সূর্যের মুখোমুখি অবস্থান করে পৃথিবীভিত্তিক সৌর প্যানেলের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি শক্তি উৎপাদন ও সরবরাহ করতে সক্ষম হবে।
জাপানের গবেষক দলের একজন প্রকৌশলী দাইসুকে গোতো বলেন, এসএসপিএসের একটি ইউনিট একটি পারমাণবিক চুল্লির প্রায় সমান শক্তি উৎপাদন করতে পারবে বলে তাঁরা অনুমান করছেন। তাই আশা করা যায়, এই এসএসপিএস মানুষের জ্বালানি চাহিদার সবটুকু পূরণ করতে না পারলেও ভবিষ্যতের জ্বালানির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
মহাকাশভিত্তিক সৌরশক্তি উৎপাদন ব্যবস্থার ধারণা যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশের গবেষকদের মাথায় আসে সেই ১৯৮০-এর দশকে। কিন্তু প্রযুক্তির সুবিধা অপর্যাপ্ত হওয়ায় এটি অন্যান্য প্রকল্পের আড়ালে পড়ে যায়। গোতো বলেন, মহাকাশযান থেকে পৃথিবীতে সৌরশক্তি পাঠানোর ব্যবস্থা তৈরি করাটাই সবচেয়ে কঠিন কাজ।
পরীক্ষামূলক এক গবেষণায় জাপানের মহাকাশবিজ্ঞানীরা ১ দশমিক ৮ কিলোওয়াট বিদ্যুৎশক্তি মাইক্রোওয়েভে রূপান্তরিত করে অন্তত ১৮০ ফুট দূরের একটি অ্যান্টেনায় পাঠাতে সক্ষম হন। সেখানে ওই মাইক্রোওয়েভকে আবার বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তরিত করা সম্ভব হয়। মাইক্রোওয়েভকে বেছে নেওয়ার কারণ হচ্ছে, এগুলো সরলরেখায় চলে এবং ঘন মেঘের আবরণ ভেদ করে যেতে পারে।
পৃথিবীতে অবস্থানকারী গ্রহীতা (রিসিভার) কীভাবে সেই সৌরশক্তিকে ‘বন্দী’ করবে সেটিও বিজ্ঞানীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তাঁদের প্রস্তাবিত রিসিভারটির ব্যাস হবে এক মাইলের মতো। এটি সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায়ও রাখা যেতে পারে। আর সেখান থেকেই বিদ্যুতের গ্রিডের সঙ্গে রিসিভারটির সংযোগ দেওয়া হতে পারে। মহাকাশে এসএসপিএসের জন্য বিভিন্ন উপকরণ পাঠানো এবং সেখানে সংযুক্ত করার কাজটাও একইভাবে কঠিন হবে বলে মনে করছেন গবেষকেরা। মহাশূন্যে এসব যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ ও ঠিকঠাক করার জন্য যন্ত্রমানব বা রোবট নিয়োগ করতে হবে। গবেষকদের আশা, সৌর প্যানেলযুক্ত প্রতিটি নভোযানের কার্যকারিতার মেয়াদ হবে ৪০ বছর। সাম্প্রতিক গবেষণায় অনেক অগ্রগতি হলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এসএসপিএসের কাজ শুরু হতে আরও অন্তত ৩০ বছর লাগতে পারে।