কলা খাওয়ার পর কলার খোসা কি করেন? নিশ্চয়ই
ময়লার ঝুড়িতে যায়? এছাড়াও অনেকে পথে ঘাটে কলার খোসা ছড়িয়ে বিপত্তির সৃষ্টি
করে থাকেন। তাই এই ফেলনা কলার খোসা অনেকের কাছেই কোনো কাজের নয়। কিন্তু এই
ফেলনা কলার খোসার এমন কিছু বিস্ময়কর ব্যবহার রয়েছে যা চমকে দিতে পারে
আপনাকে। চলুন তাহলে আজ জেনে নেয়া যাক ফেলনা কলার খোসার এমনই সব ব্যবহার।
১) ফোসকা পড়া দ্রুত নিরাময় করে অনেকেই
কলার খোসার এই ব্যবহার সম্পর্কে একেবারেই জানেন না। কলার খোসা ফোসকা পড়া
দ্রুত নিরাময়ে সহায়তা করে। এক খণ্ড কলার খোসার ভেতরের অংশ দিয়ে আলতো ঘষে
নিন এবং পুরো রাত অ্যাডহেসিভ টেপ দিয়ে লাগিয়ে রাখুন। ভালো ফলাফল পাবেন।
২) রূপার চকচকে ভাব পুনরায় ফিরিয়ে আনে
রূপার জিনিসপত্র অনেকদিন রেখে দিলে কালচে ভাব চলে আসে। এই সমস্যা এক নিমেষে
দূর করতে পারে কলার খোসা। কলার খোসার ভেতরের অংশ দিয়ে ঘষে নিন রূপার তৈরি
জিনিসটি। এরপর ধুয়ে মুছে নিন ভালো করে। ব্যস, নতুনের মতো চকচকে রূপার জিনিস
পেয়ে যাবেন।
৩) গাছের খাবার শখের বাগানের গাছের জন্য
মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করতে চান? তাহলে কলার খোসা পুতে রাখুন। কলার খোসা খুব
ভালো সার হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও কলার খোসা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি
প্রতিদিন গাছে দিলে দ্রুত ও সঠিকভাবে গাছ বেড়ে উঠতে খুব ভালো কাজ করে।
৪) চামড়ার তৈরি জিনিস পরিষ্কার করতে
অনেকের ঘরেই চামড়ার তৈরি নানা জিনিস রয়েছে যা অল্পতেই নোংরা হয়ে যায়। বিশেষ
করে বর্ষার সময়ে ছিতি পড়ার সমস্যাও দেখা দেয়। এই সমস্যার সমাধান করবে
ফেলনা কলার খোসা। কলার খোসার ভেতরের অংশ ঘষে নিন জিনিসের উপরে, এরপর ভালো
করে একটি ভেজা কারণ দিয়ে মুছে নিন এবং একটি শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিলেই
ভালো ফলাফল পাবেন।
৫) পোকামাকড়ের কামড়ের জ্বলুনি দূর করতে
পোকামাকড় কামড়ালে অনেকেরই অ্যালার্জির কারণে অনেক ফুলে যায় এবং জ্বলুনি তো
থাকেই। এক কাজ করুন, কলার খোসার ভেতরের অংশ দিয়ে ঘষে নিন আক্রান্ত স্থান।
দেখবেন ফুলে উঠা অনেক কমে গিয়েছে, আর জ্বলুনিও থাকবে না একেবারেই।
৬) ত্বকের সুরক্ষ ফেলনা কলার খোসা দূর
করতে পারে ত্বকের ব্রণ সমস্যা, ত্বকের বয়সের ছাপ জনিত সমস্যা, এমনকি ত্বকের
রুক্ষতার সমস্যাও। শুধুমাত্র কলার খোসার ভেতরের অংশ আলতো করে পুরো মুখে
ঘষে নিন। পুরো রাত এভাবেই রাখুন। সকালে ভালো করে মুখ ধুয়ে মুছে নিন, বেশ
ভালো ফলাফল পাবেন।
No comments:
Post a Comment