Monday, August 17, 2015

এক রাজার একশ রানী !!

বিবাহ প্রথা পৃথিবীর ইতিহাসে বেশ প্রাচীন রীতি। প্রায় প্রতিটি ধর্ম এবং গোত্রেই বিয়ের বন্দোবস্ত রয়েছে। স্থান কাল ভেদে অনুষ্ঠান রীতির পার্থক্য হলেও বিয়ের মূল ব্যাপারটি সেই নারী এবং নরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা বিরাজমান থাকার কারণে অধিকাংশ সমাজেই পুরুষ বহুবিবাহ করতে পারে এবং সেই তুলনায় খুব কম সমাজেই নারীর বহুবিবাহ করার অধিকার থাকে।
আফ্রিকার এক প্রাচীন জনপদের নাম ক্যামেরুন। দেশটির রাজা হলেন আবুম্বি দ্বিতীয়। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি দেশটির একছত্র অধিপতি হিসেবে প্রজাদের শাসন করে আসছেন। কিন্তু এই আধিপত্যবাদী আচরণের অন্তরালে রাজা আবুম্বি দ্বিতীয় একের পর এক বিয়ে করে চলেছেন। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী এখন আবুম্বির রয়েছে একশ রানী। তবে ঘটনা এখানেই শেষ নয়, আবুম্বি রাজবংশের নিয়মানুযায়ী আবুম্বির মৃত্যুর পর যিনি রাজা হবেন তিনি উত্তরাধিকারসূত্রে এই একশ রানীকে পাবেন এবং পরবর্তী সময়ে তিনি নিজের রানী সংখ্যা বাড়াতে পারবেন।
অবশ্য রাজার এই বহুবিবাহ বিষয়টিকে দেশবাসী অতটা নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে না। এমনকি রাজার সন্তান যুবরাজ নিকসনের কাছেও রয়েছে বাবার বহুবিবাহের উপযুক্ত ব্যাখ্যা। যুবরাজের মতে এই রাজবংশের উন্নতি এবং ভিতের পেছনে এরকম বহু রানীর অবদান রয়েছে। একজন রাজার সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে গেলে রানীদের ভূমিকা থাকে বলেও যুবরাজের বিশ্বাস। এমনকি রানী কুন্সট্যান্সও মনে করেন যে, ‘প্রতিটি সফল মানুষের পেছনে নারীর অবদান থাকে।’
]বহুবিবাহের এই চিত্র শুধু যে ক্যামেরুনেই বিদ্যমান তা নয়। গোটা আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলেই রয়েছে বহুবিবাহের রীতি। আফ্রিকায় খ্রিষ্টধর্ম প্রচার পাওয়ার পর বহুবিবাহ কিছুটা কমলেও কিছু দেশে আজও বহুবিবাহ স্বীকৃত এবং সংস্কৃতির অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। উপনিবেশিক আমলে ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য মিলিতভাবে আফ্রিকার সাধারণ মানুষের মূল্যবোধ পরিবর্তন করে ইউরোপ ঘেষা পরিস্থিতি তৈরির জন্য কাজ করেছে। তৎকালীন সময়ে, আফ্রিকার আদিবাসী গোষ্ঠিগুলোর সংস্কৃতিক হুমকির মুখে ফেলায় ফ্রান্স এবং ব্রিটিশদের সঙ্গে আদিবাসীদের অনেকবার সাংঘর্ষিক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
‘আমার কাজ হলো শুধু ভালো ভাবে মিশ্রন করা। যাতে আমাদের সংস্কৃতিকে ধ্বংস না করে উন্নতির হাত ধরে আধুনিকতার দিতে আমরা যেতে পারি। সংস্কৃতি ব্যাতীত আপনি কোনো মানুষই নন, একজন পশু মাত্র। আর একারণেই সংস্কৃতি রক্ষার প্রয়োজন হয়।’ -রাজা আবুম্বি দ্বিতীয়।
মহাদেশ হিসেবে আফ্রিকাতে বহুবিবাহ মূলত রাজা বা নেতাদের হাত ধরেই বিস্তৃত হচ্ছে। ছোটো ছোটো গোত্রগুলোর প্রধানদের মেয়েদের বিয়ে করে ভূমির অধিকার বাড়ানোর জন্যই মূলত আফ্রিকার রাজারা বহুবিবাহের দিকে যায়। পাশাপাশি রাজার ছেলে যুবরাজ উত্তরাধিকারসূত্রে রানীর অধিকার প্রাপ্তির বিষয়টিও নির্ধারণ করা হয় রাজদন্ড দ্বারা। কারণ তাদের বিশ্বাস মতে, রাজা হিসেবে পিতা তার সন্তানের জন্য মৃত্যুর আগে ক্ষমতা আর নারী ছাড়া আর কিছু রেখে

"মোড়েলগঞ্জ-সাইনবোর্ড় বগী সড়কে দুরপাল্লার পরিবহন বন্ধ ঘোষনা "

বাগেরহাটের সাইনবোর্ড়-বগী সড়কে ২০ঘন্টা ধরে আটকে আছে দুরপাল্লার পবিহন। গভীর গর্তে আটকে যাওয়া কয়েকটি গাড়ি আজ রোববারও টেনে তোলা সম্ভব হয়নি। এগুলো শনিবার বিকেল ৪টা থেকে গর্তে গেড়ে যায়। ফলে মোড়েলগঞ্জ শরণখোলা থেকে ঢাকা, খুলনা ও চিটাগাংগামী সকল পরিবহনের চলাচল বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।   
মোড়েলগঞ্জের বেইলী ব্রীজ এলাকায় গেড়ে যাওয়া গাড়ী টেনে তুলতে আরো কয়েক ঘন্টা সময় লাগবে। ওই গাড়িগুলো না তোলা পর্যন্ত কোন যানবাহনই শরণখোলা ও বগী এলাকায় পৌছাতে পারবে না।
  তাই মোড়েলগঞ্জ শরণখোলা মংলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক শামীম আহসান পলাশ গতকাল দুপুর থেকে কোন প্রকার পরিবহন এই সড়কে না ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, গাড়ী তুলে গর্ত ভরাটের পরে সড়ক উন্মুক্ত করা হবে। - See more at: http://www.banglarchokh.net/detailsnews.php?nssl=45785#sthash.m9mOddz4.dpuf
বাগেরহাটের সাইনবোর্ড়-বগী সড়কে ২০ঘন্টা ধরে আটকে আছে দুরপাল্লার পবিহন। গভীর গর্তে আটকে যাওয়া কয়েকটি গাড়ি আজ রোববারও টেনে তোলা সম্ভব হয়নি। এগুলো শনিবার বিকেল ৪টা থেকে গর্তে গেড়ে যায়। ফলে মোড়েলগঞ্জ শরণখোলা থেকে ঢাকা, খুলনা ও চিটাগাংগামী সকল পরিবহনের চলাচল বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।   
মোড়েলগঞ্জের বেইলী ব্রীজ এলাকায় গেড়ে যাওয়া গাড়ী টেনে তুলতে আরো কয়েক ঘন্টা সময় লাগবে। ওই গাড়িগুলো না তোলা পর্যন্ত কোন যানবাহনই শরণখোলা ও বগী এলাকায় পৌছাতে পারবে না।
  তাই মোড়েলগঞ্জ শরণখোলা মংলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক শামীম আহসান পলাশ গতকাল দুপুর থেকে কোন প্রকার পরিবহন এই সড়কে না ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, গাড়ী তুলে গর্ত ভরাটের পরে সড়ক উন্মুক্ত করা হবে। - See more at: http://www.banglarchokh.net/detailsnews.php?nssl=45785#sthash.m9mOddz4.dpuf
বাগেরহাটের সাইনবোর্ড়-বগী সড়কে ২০ঘন্টা ধরে আটকে আছে দুরপাল্লার পবিহন গভীর গর্তে আটকে যাওয়া কয়েকটি গাড়ি আজ রোববারও টেনে তোলা সম্ভব হয়নি এগুলো শনিবার বিকেল ৪টা থেকে গর্তে গেড়ে যায় ফলে মোড়েলগঞ্জ শরণখোলা থেকে ঢাকা, খুলনা চিটাগাংগামী সকল পরিবহনের চলাচল বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে   
মোড়েলগঞ্জের বেইলী ব্রীজ এলাকায় গেড়ে যাওয়া গাড়ী টেনে তুলতে আরো কয়েক ঘন্টা সময় লাগবে। ওই গাড়িগুলো না তোলা পর্যন্ত কোন যানবাহনই শরণখোলা বগী এলাকায় পৌছাতে পারবে না।
 
তাই মোড়েলগঞ্জ শরণখোলা মংলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক শামীম আহসান পলাশ গতকাল দুপুর থেকে কোন প্রকার পরিবহন এই সড়কে না ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, গাড়ী তুলে গর্ত ভরাটের পরে সড়ক উন্মুক্ত করা হবে।
বাগেরহাটের সাইনবোর্ড়-বগী সড়কে ২০ঘন্টা ধরে আটকে আছে দুরপাল্লার পবিহন। গভীর গর্তে আটকে যাওয়া কয়েকটি গাড়ি আজ রোববারও টেনে তোলা সম্ভব হয়নি। এগুলো শনিবার বিকেল ৪টা থেকে গর্তে গেড়ে যায়। ফলে মোড়েলগঞ্জ শরণখোলা থেকে ঢাকা, খুলনা ও চিটাগাংগামী সকল পরিবহনের চলাচল বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।   
মোড়েলগঞ্জের বেইলী ব্রীজ এলাকায় গেড়ে যাওয়া গাড়ী টেনে তুলতে আরো কয়েক ঘন্টা সময় লাগবে। ওই গাড়িগুলো না তোলা পর্যন্ত কোন যানবাহনই শরণখোলা ও বগী এলাকায় পৌছাতে পারবে না।
  তাই মোড়েলগঞ্জ শরণখোলা মংলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক শামীম আহসান পলাশ গতকাল দুপুর থেকে কোন প্রকার পরিবহন এই সড়কে না ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, গাড়ী তুলে গর্ত ভরাটের পরে সড়ক উন্মুক্ত করা হবে। - See more at: http://www.banglarchokh.net/detailsnews.php?nssl=45785#sthash.m9mOddz4.dpuf

Sunday, July 19, 2015

হ্যান্ডসেটে থাকছে না সিম কার্ড, আসছে ই-সিম !!!!

প্রযুক্তির নতুন নতুন উদ্ভাবনে একে একে হারিয়ে গেছে অনেক কিছুই। হার্ডওয়্যারের আধুনিকায়নে দীর্ঘাকৃতির হ্যান্ডসেট এখন সহজেই হাতের মুঠোয়। আর সর্বশেষ আধুনিকায়নের পরিকল্পনা ঝুঁকিতে ফেলেছে হ্যান্ডসেটের প্রাণ।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিম কার্ডের দিন বুঝি শেষ হতে যাচ্ছে। কারণ বিকল্প হিসেবে ই-সিম বা ইলেক্ট্রনিক সিম কার্ডের বিষয়ে কাজ শুরু করেছে হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারী জায়ান্ট কোম্পানিগুলো।
হ্যান্ডসেটের মধ্যে সরাসরি সিম কার্ড ব্যবহার না করে এতে ই-সিম ব্যবহারের বিষয় ইতোমধ্যে জিএসএমএ এর (গ্রুপ স্পেশাল মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন) সঙ্গে আলোচনা করেছে প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল ও স্যামসাং।
এতে গ্রাহকরা কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়া সহজেই অপারেটর পরিবর্তন করতে পারবেন বলে মনে করছে মোবাইল টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিত্বকারী জিএসএমএ।
হ্যান্ডসেটের জন্য স্ট্যান্ডার্ড সিম (সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টি মডিউল) তৈরিতে চুক্তির বিষয়টি এখন ঘোষণা মাত্র বলে জানিয়েছেন জিএসএমএ এর প্রধান নির্বাহী ‍অ্যানি বোভার্তো।
প্রযুক্তি বিষয় সাইট টেকস্পট’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটে ই-সিম সংযুক্ত করা থাকবে। এক্ষেত্রে হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারকদের সিম কার্ডের জন্য আলাদা কোনো স্লট দিতে হবে না।
এ সংক্রান্ত কারিগরি সহযোগিতার বিষয়ে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো আলোচনা না হলেও, আগামী প্রজন্মের ফোন হবে ই-সিমের সে বিষয়ে নিশ্চিত করে বলা যায়।
মোবাইল ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ২৫ বছর আগে আমূল পরিবতর্ন এনেছে সিম কার্ড। সে সময়ের দীর্ঘাকৃতির হ্যান্ডসেটের আকার এখন অনেক ছোট হয়ে আসলেও তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি সিম কার্ডের আকারে।
তবে বহু আগে ই-সিমের ধারণ ‍দিয়েছিলেন ক্যামব্রিজ বিশ্ববিল্যায়ের ড. মার্কাস কুন। তিনি বলেছিলেন, শিগগিরই মোবাইল নেটওয়ার্কে সিম কার্ডের পরিবর্তে পাসওয়ার্ড বা কিউআর কোড কিংবা থ্রিডিবার কোড স্থান করে নেবে।
এক্ষেত্রে পাসওয়ার্ড বা উন্নত সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের জন্য সহজ হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
১৯৯১ সালে জার্মানির স্মার্ট-কার্ড মেকার জিসিক্কি অ্যান্ড ডেভ্রিয়েন্ট সর্বপ্রথম ফিনিশ অপারেটর রেডিওলিঞ্জার কাছে তিনশ’টি সিম বিক্রি করে। প্রথম সিম কার্ড ক্রেটিড কার্ড আকৃতির হলেও পরে তার ছোট হয়ে আসে।
বর্তমানে হ্যান্ডসেটগুলোতে মাইক্রো সিম ব্যবহৃত হলেও অ্যাপলসহ কয়েকটি কোম্পানির হ্যান্ডসেটে ন্যানো সিম ব্যবহৃত হচ্ছে। যা শিগগিরই দখল করে নিচ্ছে ই-সিম।

জেনে নিন, একজন মানুষের কতটুকু পানি খাওয়া উচিত ?

মানবদেহের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি অংশজুড়ে রয়েছে পানি। দেহের প্রায় প্রতিটি কাজে পানি প্রয়োজন হয়। কিন্তু দিনে একজন মানুষের কতটুকু পানি খাওয়া উচিত? এ প্রশ্নটি বহু পুরনো হলেও বিভিন্ন সময় বদলেছে বিশেষজ্ঞের মতামত।
২০১০ সালে ইউরোপিয়ান ফুড সেফটি অথরিটি এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানায়, প্রত্যেক পুরুষের দৈনিক ন্যূনতম ২ লিটার এবং নারী ১.৬ লিটার করে পানি খাওয়া উচিত। একজন পুরুষের ৫০০ মিলিলিটারের বোতলজাত পানির ৪টি বোতল খাওয়া উচিত। আর একজন নারীর তিন বোতল পানি খাওয়া উচিত।
তারপরও একজন মানুষের আকার ও ওজনের ওপর ভিত্তি করে পানির পরিমাণ নির্ধারণ করা উচিত। তবে যেকোনো মানুষ বেশ কিছুক্ষণ পর পর সামান্য পরিমাণ পানি খেলেই তার দেহে পানির অভাব ঘটবে না।
অন্যান্যা পানীয়ের সঙ্গেও দেহে পানি প্রবেশ করে। বেভারেজ, ফলের জুস, দুধ ইত্যাদিতে যথেষ্ট পরিমাণ পানি থাকে। চা বা কফিতেও পানি থাকে। কিন্তু অ্যালকোহলে হিতে বিপরীত হয়।
দেহে পানির অভাব হলে মূত্রের রং গাঢ় হয়ে যায় এবং বাজে গন্ধ বের হয়। তৃষ্ণা পায় এবং মুখ শুকনো থাকে। সাধারণত শিশু এবং বয়স্ক মানুষরা দেহে পানির অভাবে ভোগে। যাদের বমি, ডায়রিয়া এবং প্রচুর ঘামের সমস্যা রয়েছে তাদের দেহ ডিহাইড্রেট হতে পারে।
বেশি বেশি পানি খেলে অভাব ওভারহাইড্রেট হয়। এতে পানিতে দূষণ দেখা দিতে পারে এবং সোডিয়ামের মাত্রা একেবারে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে হাইপোনাট্রেমিয়া দেখা দিতে পারে। ক্লিনিক্যাল জার্নাল অব স্পোর্টস মেডিসিনের এক গবেষণায় বলা হয়, ম্যারাথন দৌড়ের সময় অ্যাথলেটরা অতিরিক্ত পানি খান। এ কারণে তারা হাইপোনাট্রেমিয়ায় ভোগেন।
কিছু পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে যার কারণে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পারে। আট ঘণ্টার বেশি সময় ধরে প্রস্রাব না হওয়া, অবসাদগ্রস্ত হওয়া, পালস দ্রুত হচ্ছে অনুভব করা ইত্যাদি পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। ক্রমাগত তৃষ্ণাবোধ ডায়াবেটিস বা অন্যান্য ক্রনিক সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
যদি মনে হয় পানি খাওয়া প্রয়োজন, তবে সামান্য পানি খেয়ে নিন। কখনোই একবারে খুব বেশি পানি পান করবেন না। সবচেয়ে বড় কথা হলো, পানির প্রয়োজন হলে দেহই জানিয়ে দেবে আপনার এখন পানি খাওয়া দরকার।

Thursday, July 2, 2015

চমকপ্রদ ভিখারির জীবন কাহিনি !

বাই যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চিন্তা করে তখন ভিখারিই বা পিছিয়ে থাকবে কেন। মুহম্মদ রফিক সেরকমই একজন। তার এই ভিক্ষাজীবীর জীবনকাহিনি চমকপ্রদ। তিনি কোন কর্পোরেট অফিসারের চেয়ে কম নয়।
রফিকের জন্ম ভারতের রাজস্থানের যোধপুরে। এখন থাকেন মধ্য প্রদেশের খারগাঁও-এ। তাঁর জীবন অবশ্য কিছুটা ভ্রাম্যমান। কারণ রফিক এবং তার পরিবারের ছ’জন সদস্য থাকেন একটি গাড়িতে। শারীরিক প্রতিবন্ধী রফিকের দুটি পা-ই নেই। সেই বাধাকে অতিক্রম করেই ড্রাইভিং শেখেন তিনি।
এখন নিজের গাড়িতে বসে ভিক্ষা করেন। নিজেই গাড়ি চালান। ওখানেই খাওয়া-দাওয়া-ঘুমোনো। আবার ওই গাড়ি চালিয়েই আসেন ভিক্ষাবৃত্তিতে!
খারগাঁও-এর নভগড় মন্দিরই রফিকের মূল ‘কর্মক্ষেত্র’। তার দৈনিক উপার্জন দেখে ঈর্ষান্বিত হবেন অনেক অনেক বড় চাকুরে। প্রতিদিন গড়ে তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা উপার্জন করেন রফিক। মাস গেলে মোট উপার্জন দাঁড়ায় এক লক্ষ টাকারও বেশি! এই গাড়ি চালক ভিখারি টেক্কা দেবেন যে কোনও কর্পোরেট চাকুরের সঙ্গে।

Wednesday, July 1, 2015

সঠিক এবং কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণে যা করণীয়

সিদ্ধান্ত নিতে আমরা অনেকেই ঝামেলায় পড়ি। এ লেখায় থাকছে ঝামেলা এড়িয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কয়েকটি টিপস। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. বেস্ট অপশন অনুসন্ধান
দোকানো কোনো জিনিস কিনতে গিয়ে ‘বেস্ট অপশন’ অনুসন্ধান করা বাদ দিন। এটি মূলত বিক্রেতারা বেশি অর্থের জন্যই তৈরি করে। এক্ষেত্রে নিজের পছন্দনীয় বিষয়টিকেই আগে গুরুত্ব দিন।
২. অন্যদের কম গুরুত্ব দিন
আপনার কোনো একটি বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে নিজের মতামতই সবার আগে রাখুন। এক্ষেত্রে অন্য কারো সিদ্ধান্ত কিংবা বিবেচনা পরে চিন্তা করুন।
৩. ভালো ঘুমের গুরুত্ব
ভালোভাবে ঘুম সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালোভাবে ঘুমিয়ে নিন।
৪. নিজের যা প্রয়োজন তাই দেখুন
ধরুন আপনার পছন্দনীয় কোনো একটি জিনিস কিনতে দোকানে গিয়েছেন। এক্ষেত্রে বিক্রেতা আপনাকে অন্য যে জিনিসই দেখাক না কেন, আপনি লক্ষ্যচুত হবেন না। এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয়তা সবার আগে।
৫. অন্যদের তুলনায় নিজের গুরুত্ব আগে
সিদ্ধান্ত যেহেতু আপনি নিচ্ছেন তাই অন্যদের তুলনায় নিজের মনোভাবই সবার আগে বিবেচনা করুন।
৬. অতিরিক্ত তথ্য নয়
অতিরিক্ত তথ্য অনেক সময় কোনো একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়াকে অথর্ব করে দিতে পারে। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী তথ্য নিন এবং বাড়তি তথ্য বাদ দিন।
৭. নিজেকে প্রণোদনা দিন
কোনো একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হলে নিজের সুবিধার কথাও খেয়াল রাখুন। ভালো একটি খাবার কিংবা অনুরূপ বিষয় নিজের মস্তিষ্ককে উদ্দীপ্ত করতে ব্যবহার করুন।
৮. ভিন্ন ফলাফল বিবেচনা করুন
কোনো একটি কাজের ফলে আপনার কাঙ্ক্ষিত যে ফলাফল তা নাও আসতে পারে। এক্ষেত্রে ভিন্ন কোনো ফলাফল হতে পারে, তাও বিবেচনা করুন।
৯. নাস্তা খান
ক্ষুধার্ত অবস্থায় মানুষের চিন্তাশক্তি সীমিত হয়ে পড়ে। তাই বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একটু নাস্তা খেয়ে নিন।
১০. ভয়কে জয় করুন
ভয় অনেক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে বিচক্ষণতার সঙ্গে নির্ভুল সিদ্ধান্ত নিতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
১১. সঠিক মূল্য দিন
কোনো বিষয়ের মূল্যকে বেশি বা কম করে বিবেচনা করবেন না। এক্ষেত্রে সঠিক মূল্য বিবেচনা করুন।
১২. মেডিটেশন
মেডিটেশনের সহায়তায় সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়। এজন্য অনুশীলন করতে হবে।
১৩. পূর্বধারণা বাদ দিন
কোনো একটি বিষয় সম্পর্কে আগে থেকে ধারণা করে রাখা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে পূর্বধারণা ভুল সিদ্ধান্ত তৈরি করতে পারে। তাই সঠিক পূর্বধারণা মেনে চলুন।
১৪. সর্বশেষ তথ্য মানে সর্বশ্রেষ্ঠ নয়
কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সর্বশেষ তথ্য মানে সর্বশ্রেষ্ঠ নয়। আগের তথ্যও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
১৫. ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করুন
শুধু আপনার নিজের মতামতই নয়, অন্যদের মতামতও বিবেচনা করুন।
১৬. চোখ বন্ধ করুন
কঠিন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করুন। এরপর বিষয়টি ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করে নিন।
১৭. বিদেশি ভাষায় বিবেচনা করুন
আপনার সিদ্ধান্তের কয়েকটি অপশন বিদেশি কোনো ভাষায় বিবেচনা করুন। এতে নতুন কোনো দিগন্তের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।
১৮. বর্তমান অনুভূতি চিরস্থায়ী নয়
আপনার বর্তমানে যে অনুভূতি রয়েছে তা সব সময়েই থাকবে এমন কোনো কথা নেই। এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ভবিষ্যতের কথাও চিন্তা করতে হবে।
১৯. শরীরের ভাষা শুনুন
শরীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাই আপনার শরীর কি বলে, সে বিষয়টিও লক্ষ্য রাখুন।
২০. অন্ধভাবে অন্যকে বিশ্বাস নয়
অন্যরা আপনাকে যে তথ্যই দিক না কেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তার কোনোটিই অন্ধভাবে বিশ্বাস করা যাবে না। এক্ষেত্রে নিজের বিবেচনাকেও গুরুত্ব দিতে হবে।
২১. বেস্ট চয়েস সবসময় ভালো নাও হতে পারে
অনেকেই বেস্ট চয়েস হিসেবে আপনার সামনে উপস্থাপন করতে পারে এমন কোনো বিষয় যা আদতে ভালো সিদ্ধান্ত নয়।
২২. গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আগে রাখুন
আপনার সামনে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ রয়েছে তার একটি তালিকা করুন। এরপর যে সিদ্ধান্তটি সবচেয়ে ভালো বলে মনে হয়, তাকে তালিকার ওপরের দিকে রাখুন।
২৩. এক বছর পরের পরিস্থিতি
ব্যবসা ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি পদ্ধতি হলো ‘প্রিমর্টাম’। এক বছর পরে পরিস্থিতি কি দাঁড়াবে সে সম্পর্কে কল্পনা করে এ সিদ্ধান্তটি নেওয়ার বিষয় বিবেচনা করতে হয়। এক্ষেত্রে এক বছর পর থেকে পেছনের দিকে তাকাতে হয়।
২৪. নমনীয়তা
কোনো একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনি যদি আগে থেকেই একটি নির্দিষ্ট বিষয় ধরে রাখেন তাহলে তা সিদ্ধান্ত গ্রহণে ঝামেলা তৈরি করে। এক্ষেত্রে তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনেকগুলো বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে এবং যে সিদ্ধান্তই হোক না কেন, তা মেনে নিতে হবে।

বিস্ময়কর ৬ টি ব্যবহার যা আপনার এখনও অজানা ফেলনা কলার খোসায়

কলা খাওয়ার পর কলার খোসা কি করেন? নিশ্চয়ই ময়লার ঝুড়িতে যায়? এছাড়াও অনেকে পথে ঘাটে কলার খোসা ছড়িয়ে বিপত্তির সৃষ্টি করে থাকেন। তাই এই ফেলনা কলার খোসা অনেকের কাছেই কোনো কাজের নয়। কিন্তু এই ফেলনা কলার খোসার এমন কিছু বিস্ময়কর ব্যবহার রয়েছে যা চমকে দিতে পারে আপনাকে। চলুন তাহলে আজ জেনে নেয়া যাক ফেলনা কলার খোসার এমনই সব ব্যবহার।
১) ফোসকা পড়া দ্রুত নিরাময় করে অনেকেই কলার খোসার এই ব্যবহার সম্পর্কে একেবারেই জানেন না। কলার খোসা ফোসকা পড়া দ্রুত নিরাময়ে সহায়তা করে। এক খণ্ড কলার খোসার ভেতরের অংশ দিয়ে আলতো ঘষে নিন এবং পুরো রাত অ্যাডহেসিভ টেপ দিয়ে লাগিয়ে রাখুন। ভালো ফলাফল পাবেন।
২) রূপার চকচকে ভাব পুনরায় ফিরিয়ে আনে রূপার জিনিসপত্র অনেকদিন রেখে দিলে কালচে ভাব চলে আসে। এই সমস্যা এক নিমেষে দূর করতে পারে কলার খোসা। কলার খোসার ভেতরের অংশ দিয়ে ঘষে নিন রূপার তৈরি জিনিসটি। এরপর ধুয়ে মুছে নিন ভালো করে। ব্যস, নতুনের মতো চকচকে রূপার জিনিস পেয়ে যাবেন।
৩) গাছের খাবার শখের বাগানের গাছের জন্য মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করতে চান? তাহলে কলার খোসা পুতে রাখুন। কলার খোসা খুব ভালো সার হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও কলার খোসা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি প্রতিদিন গাছে দিলে দ্রুত ও সঠিকভাবে গাছ বেড়ে উঠতে খুব ভালো কাজ করে।
৪) চামড়ার তৈরি জিনিস পরিষ্কার করতে অনেকের ঘরেই চামড়ার তৈরি নানা জিনিস রয়েছে যা অল্পতেই নোংরা হয়ে যায়। বিশেষ করে বর্ষার সময়ে ছিতি পড়ার সমস্যাও দেখা দেয়। এই সমস্যার সমাধান করবে ফেলনা কলার খোসা। কলার খোসার ভেতরের অংশ ঘষে নিন জিনিসের উপরে, এরপর ভালো করে একটি ভেজা কারণ দিয়ে মুছে নিন এবং একটি শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিলেই ভালো ফলাফল পাবেন।

৫) পোকামাকড়ের কামড়ের জ্বলুনি দূর করতে পোকামাকড় কামড়ালে অনেকেরই অ্যালার্জির কারণে অনেক ফুলে যায় এবং জ্বলুনি তো থাকেই। এক কাজ করুন, কলার খোসার ভেতরের অংশ দিয়ে ঘষে নিন আক্রান্ত স্থান। দেখবেন ফুলে উঠা অনেক কমে গিয়েছে, আর জ্বলুনিও থাকবে না একেবারেই।
৬) ত্বকের সুরক্ষ ফেলনা কলার খোসা দূর করতে পারে ত্বকের ব্রণ সমস্যা, ত্বকের বয়সের ছাপ জনিত সমস্যা, এমনকি ত্বকের রুক্ষতার সমস্যাও। শুধুমাত্র কলার খোসার ভেতরের অংশ আলতো করে পুরো মুখে ঘষে নিন। পুরো রাত এভাবেই রাখুন। সকালে ভালো করে মুখ ধুয়ে মুছে নিন, বেশ ভালো ফলাফল পাবেন।